বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

জার্মানিতে করোনার টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সাফল্য

সমকাল : জার্মানিতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে একটি করোনা টিকার সফলতা মিলেছে। চিকিৎসকরা দেখেছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহে প্লাজমা থেরাপির চেয়ে বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে ওই টিকা। জার্মান বায়োটেক সংস্থা বায়োএনটেক ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার যৌথভাবে এই করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে। বুধবার ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করেছে বায়োএনটেক। যদিও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহারের আগে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন ভ্যাকসিনটির। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট ও স্টাটনিউজের। 

বায়োএনটেক জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ অনেকাংশেই সফল। যাদের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে অনেকটাই। দেহে তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডিও। 

সংস্থাটি জানায়, মোট ৪৫ জনের দেহে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এদের প্রথম ১২ জনকে ১০ মাইক্রোগ্রামের ডোজ, দ্বিতীয় ১২ জনকে ৩০ মাইক্রোগ্রামের এবং তৃতীয় ১২ জনকে ১০০ মাইক্রোগ্রাম ডোজ দেওয়া হয়। বাকি নয়জনকে প্ল্যাসেবো (কোনো কার্যকরী ওষুধ নেই) দেওয়া হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, যাদের ১০০ মাইক্রোগ্রামের ডোজ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেরই জ্বর, মাথাব্যথা, ঘুম নষ্ট হওয়ার মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দিয়েছে। 

তিন সপ্তাহ পরে ১০০ মাইক্রোগ্রামের ১২ জনকে আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়নি। অন্যদের ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ১০ মাইক্রোগ্রামের ডোজ দেওয়া হয়েছিল এদের মধ্যে ৮.৩ শতাংশ এবং ৩০ মাইক্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছিল এমন ৭৫ শতাংশ ব্যক্তির জ্বর এসেছে। 

সব মিলিয়ে এই ভ্যাকসিন যাদের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের ৫০ শতাংশ ব্যক্তির মধ্যে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তবে তার কোনওটাই প্রাণঘাতী নয় বা হাসপাতালে ভর্তি করার মতো নয়।বাকি ৫০ শতাংশের কোনো সমস্যা হয়নি। অর্থাৎ, তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। 

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, পরীক্ষায় প্রমাণ হয়েছে, এই ভ্যাকসিনটি সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পেরেছে। অর্থাৎ কভিড-১৯ এর জীবাণুর বিরুদ্ধে ইমিউনিটি তৈরি করতে পেরেছে। আক্রান্তের শরীরে এমন কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে, যা করোনা জীবাণুকে ধ্বংস করে দেয়। সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর দেহে অ্যান্টিবডির পরিমাণ ১.৮-২৮ গুণ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে এই ভ্যাকসিন। 

এ ব্যাপারে পিফিজারের ক্লিনিক্যাল ভ্যাকসিন রিসার্চ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম গ্রুবার বলেন, আমি অনেক বেশি আশান্বিত এ কারণে যে, এই ভ্যাকসিন আমাদের করোনা সংক্রমণ ও রোগীর জন্য কার্যকরী একটি ভ্যাকসিন তৈরির পথ তৈরি করে দিয়েছে। 

তবে পিফিজারের ভাইরাল ভ্যাকসিনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফিলিপ ডরমিৎজার বলেন, আমাদের এ নিয়ে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888